মনন....4thJan 2020

হ্যাঁ, আমার হাত কাঁপে
********************

ছাইরঙা আকাশ অকাল সন্ধের কালো রঙ ধারণ করার আগেই, 
তাকে ঘোলাটে লালচে হলুদে সাজায় অগুনতি হ্যালোজেন।
এমন মেঘলা দিনে ডুবে যাওয়ার আগে 
আকাশের সূর্য মনে করিয়ে দেয়নি,
তার রঙ আসলে লাল।
মাটিতে মাথায় প্লাস্টিক বেঁধে ফুটবলে মত্ত খুদেরা থামেনি কাদামাঠে।
গলির এপাশের আঁধারে টিমটিমে আলোর বৃত্তের শাসনে জুয়ার টেবিল।
তার পাশে দাঁড়ানোর আগে, 
আবার লোকটা ভেবেছিল, আগামী কাল থেকে আর নয়।
ওপাশে আবার সেজে দাঁড়ানি মেয়েটা ভেবেছিল, এই তো আর মাত্র কয়েকটা দিন।

গগনচুম্বী বসতবাড়ির উঁচু তলায়,
টেবিলে রাখা অর্ধেক জলের বোতলের কাছে, 
আসার অপেক্ষায় ছিল কিছু ঘুমের বড়ি ।
হাতে নিয়ে কেউ দেখেছিল
ফুটপাথে রাতের বিছানা করছে এক সংসার।
দেখতে পাওনি ! কি করেই বা পাবে।
এমন মেঘলা দিনে তোমার অবিশ্বাসী মন,
তখন যেন ধ্বস্ত মহেঞ্জোদারো নগরী।
চোখ থেকে ঝরে গেছে জারুলের বৈভব,
অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে আছে জর্জেট শাড়ি।
ঘরের কোণে।
মুখে তাও রয়ে গেছে প্লাস্টিকের হাসি।
বিশের দশকেও নিয়ম করে পরা হাতঘড়ির মতন।
সময়ের হিসাব শরৎ আর বসন্তই বা কি করে জানে,
হাতঘড়ি বা মোবাইল না দেখেও!
সময় পেরিয়ে ভাল সময়ের অপেক্ষায় প্রহর গোনে চরাচর।
এক পশলা বৃষ্টির পর কাঁচে জমে ওঠে বাষ্প ,
আমিই শুধু পারিনা সেখানে তোমার নাম লিখতে।
লজ্জায় হাত আমার কেঁপে ওঠে।

দেবাঞ্জন বাগচী।

Comments

Popular posts from this blog

যেতে যেতে ৫ :: 22nd July 2018

যেতে যেতে ৪ : 7th July 2018

মনন..10th Feb 2019