মনন...22nd Dec 2019

বিলবোর্ডের মুখোমুখি
********************
খোলা জানালার ওপারে শহরের বুক ফুঁড়ে ওঠে বাহারি বিলবোর্ড।
এক পা রাখে বস্তির উঠোনে, 
আরেক পা মজা খালের পাঁকে,
কয়েক বছরে সে নিজের গায়ে এঁকে নিয়েছিল অজস্র ছবির পোষাক।
দিয়েছিল সৌন্দর্যের হদিশ, বাসার সন্ধান 
অথবা ভ্রমনের তথ্য।
পেছনে তার অজস্র জ্যামিতিক মাপের
অটুট লোহার কাঠামো।
রঙ্গীন বিলবোর্ডে বসা যে কাকটি রোজ আমায় দেখে,
তাকে কেউ পাখি বলে না।

জানিনা রৌদ্রের যে রঙ আজ দেখেছি, 
কালও পাব কিনা।
যত পাখির ডাক শুনলাম,
তাদের সুর মনে থাকবে কিনা,
পাব কিনা আর দেখতে-
জলঙ্গীর পাড়ে শিশিরে ভেজা জংলা ঘাসের বন।
অথবা হয়ত সেখানে তখন,
শ্রাবনের অঝোর ধারা।
খুঁজেছি শিশির বিন্দু নিয়মমাফিক দেখা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি,
এখনও আসেনি সম্মতি।
যেমন আসেনা কবিতা রোজ। 

রাতের স্বপ্নভঙ্গের প্রহরে ডাকে 
মায়াকুলের ধানের ক্ষেত,
বীমার কিস্তি দিতে দিতে পিছু ডাকে 
ব্যবসায়ী খেলার বোর্ড।
বিলবোর্ডে প্রগলভ নারীর মুখ মনে করিয়ে দেয় তোমার সলজ্জ হাসি,
যা আমায় চিরকাল মুগ্ধ করে।
ছেলেবেলা থেকে এখনও যেভাবে ঢেউ ভাঙ্গার শব্দে মন্ত্রমুগ্ধ হই।
সাগরে জোয়ারের আদরে আর চাঁদের মৃদু আলোয়,
আবেগে কাঁপতে থাকে একলা নৌকা,
মাঝরাতে নিয়নের শাসনে হয় উদ্ভাসিত বিলবোর্ড।
ঘন কুয়াশাকে জমাট বাঁধার সম্মতি দিয়ে চলে যায়
শেষ  হুইসল দেওয়া লোকাল ট্রেন।
শেষ ট্রেনের যাত্রী ফোনে জানায়- সে ফিরছে ঘরে,
শেষ লোকালে কেউ বেড়াতে যায় না।

দেবাঞ্জন বাগচী।

Comments

Popular posts from this blog

যেতে যেতে ৫ :: 22nd July 2018

যেতে যেতে ৪ : 7th July 2018

মনন..10th Feb 2019